আজ রবিবার, ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আড়াইহাজারে হত্যা মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকী,আসামি ঘুরে বেড়ালেও গ্রেফতার করছে না পুলিশ

বাদীকে হুমকী

বাদীকে হুমকী

আড়াইহাজার প্রতিনিধি:

আড়াইহাজার থানায় ২০১৩ সালে দায়ের করা আলোচিত আফরোজা হত্যা মামলার বাদীকে  হুমকী-ধমকী দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে শাহীন একটি সাধারণ ডাইয়েরী করেছেন। তবে পুলিশের কাছ থেকে কোন প্রকার সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন তিনি। এছাড়াও সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের আদালত থেকে উক্ত মামলার ৩নং আসামির নামে একটি গ্রেফতারী পরোয়ানাজারি হলেও রহস্যজনক কারনে তাকে গ্রেফতার করছে না পুলিশ। এনিয়ে এলাকাবাসী ও মামলার দাবী সুবিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

হত্যা মামলাটির দাবী ও নিহত গৃববধূর ভাই শাহীন জানান, আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা ৯(৪)১৩ইং মামলাটি তুলে নিতে আসামি ও তার লোকজন তাকে অব্যাহত হুমকী-ধমকী দিয়ে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে তিনি থানায় একটি জিডিও করেছেন। কিন্তু পুলিশ তাকে কোন প্রকার আইনী সহযোগীতাই দিচ্ছে না। তিনি আরও জানান, মামলার ৩নং আসামির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত ৩৫৮/১৩ইং এর অধীনে ১৭-৭-১৭ই তারিখে একটি গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। যাহার স্বারক নং- ৮৯১। পরে ২৭-৭-১৭ইং তারিখে পারোয়ানাটি আড়াইহাজার থানায় এসে পৌছায়। আড়াইহাজার থানায় পারোয়ানার স্বারক নং- ৪৪/৬২।

বাদীর অভিযোগ, আদালত থেকে আসামি গ্রেফতার করে পারোয়ানা তামিল করার নির্দেশনা থাকলেও অদ্যবধি পুলিশ তা তামিল করছে না। এখন মামলায় সুবিচার পাওয়া নিয়ে আমার শঙ্কা হচ্ছে। নাছরিন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা এফরান ভূঁইয়ার মেয়ে। এ মামলায় নামীয় অন্যআসামিরা হলেন দলিল লিখক এনামুল, মমতাজ বেগম, নাছরিন, এফরান ভূঁইয়া ও এমদাদুল হক। প্রসঙ্গত, ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে গৃহবধূ আফরোজা বেগমকে মারধর করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরে তার মুখে সেভলন ঢেলে আত্মহত্যার করেছে মর্মে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে আসামিগণ। পরে দাফনের জন্য লাশ গোসল করানো সময় মরদেহের সাড়া শরীরিরে আঘাতের ক্ষত চিহৃ দেখতে পেয়ে হত্যার বিষয়টি সামনে চলে আসে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আশরাফুল ইসলাম শাহীন বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। আড়াইহাজার থানার ওসি এম এ হক বলেন, বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ